প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাবের মান অনুযায়ী এ মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গ্রস বা মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা ২৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, গত দুই বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে বলে আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গক্রমে, গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা ২০ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
একই সময়ে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে ব্যবহারযোগ্য (সব দায়দেনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে থাকা ব্যবহার করার মতো রিজার্ভ।) রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বর মাসেই আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে।
এদিকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাছাড়া বৈধ পথে ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা। যার ফলে বৈধ পথে বাড়ছে রেমিট্যান্স আসার গতি।