এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, বিদ্যমান আইনে ৫০ লাখ টাকার অধিক মূলধনি আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ। সেই করহার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সম্পদশালী করদাতাদের প্রদেয় করের ওপর বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। এতে শেয়ারবাজার থেকে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর আয়কর ও সারচার্জ বাবদ মোট ৪০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফার ওপর প্রদেয় আয়কর ও সারচার্জ বাবদ সর্বোচ্চ করহার কমিয়ে ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার অর্জন–পরবর্তী লেনদেনের সময়–নির্বিশেষে অর্থাৎ শেয়ার ক্রয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে অথবা পাঁচ বছর পরে সব ক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনি আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয়ের পরিমাণ–নির্বিশেষে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
এ ছাড়া করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি, ১০ কোটি, ২০ কোটি ও ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রদেয় করের ওপর যথাক্রমে ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ৩০ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে।
আরও পড়ুন : ইন্টারনেট গ্রাহকদের জন্য সুখবর!
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, করদাতার ৫০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদ থাকলে শেয়ারবাজার থেকে অর্জিত ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর এবং সেই করের ওপর ৩৫ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। তবে করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে সারচার্জের হার ৩৫ শতাংশের কম হতে পারে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনি মুনাফা করমুক্ত রাখা হয়। ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর কর আরোপ করা হয়। সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ার লেনদেন করে কোনো বিনিয়োগকারী এক বছরে ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা করলে মুনাফার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত-সুবিধার আওতায় আছে। বাকি পাঁচ লাখ টাকার মুনাফা ওই বিনিয়োগকারীর মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হতো।
সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মূলধনি মুনাফার ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সঙ্গে এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়।
এরপর মূলধনি মুনাফার ওপর কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করা না হলেও করহার কমানো হলো।