পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর জোর দেয়ার জন্য ও রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ হতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশ্বের ২৩ দেশে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের বলেন, আমাদের দেশ থেকে এগ্রোফুড, সি ফুড, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাইসাইকেল, ফার্নিচার, চা, পাট ও চামড়াজাতসহ অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য রয়েছে। এগুলো রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে নির্দেশনা দেন।
যেসব দেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয় সেসব দেশে বিকল্প কি পণ্য রপ্তানি করে আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য আনা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি কোনো বাণিজ্য বাধা (ট্যারিফ-নন ট্যারিফ) থাকে তাও দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী, সকল কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের কর্মরত দেশের প্রথম ১০টি আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের দামসহ মন্ত্রণালয়ে তালিকা প্রেরণ করতে বলেন। কোনো দেশের কি পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা খুঁজে বের করে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুধু রপ্তানি নয় বাংলাদেশ যেসব পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তার উৎপাদন ও মূল্য মনিটরিং এবং মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশনা প্রদান করেন।
আরো পড়ুন- জামদানি নিয়ে ফারহানার ফিউশন, ছেড়েছেন চাকরি হয়েছেন উদ্যোক্তা।
প্রতিমন্ত্রী প্রতিটি দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যাবসায়িক অ্যাসোসিয়েশন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু তাদের সঙ্গে নিয়মিত সভা-সেমিনার করে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনলাইন সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো-ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইস এম আহসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।