বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৬৩টি ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি ও ১১৫টি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন সিস্টেম অ্যাবজরবার রড লোড করা হবে। ডামি ফুয়েলের সাহায্যে রিঅ্যাক্টরের সব প্যারামিটার যাচাই নিশ্চিত হওয়ার পর প্রকৃত জ্বালানি ভরা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট, অ্যাটমটেক এনার্গো ও রসএনার্গো অ্যাটমের বিশেষজ্ঞরা।
আকার, আকৃতি, ওজন, ম্যাটেরিয়াল বিবেচনায় ডামি জ্বালানি ভরা এবং আসল জ্বালানি ভরার কাজ একই রকম। তবে ডামি জ্বালানির ক্ষেত্রে কোনো পারমাণবিক জ্বালানি থাকে না। এ জ্বালানি ভরার কাজ শেষে রিঅ্যাক্টরের সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড ও হট টেস্ট করা হবে। এসব পরীক্ষার সফলতার ওপর নির্ভর করে রিঅ্যাক্টরের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অপারেশন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখন দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ
এএসই ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরি বাংলাদেশের রূপপুর প্রকল্প প্রসঙ্গে জানান, রোসাটম রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি করপোরেশন। পার্টনার দেশগুলোয় নতুন শিল্পের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে তার দক্ষতা ও বিশাল অভিজ্ঞতার প্রমাণ রেখে চলেছে। রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ এবং এর স্টার্টআপ ও অন্যান্য অ্যাডজাস্টমেন্ট কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ইউনিটটির স্টার্টআপের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ লাভ করবে।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদনক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর, যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রোসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।