newsinbiz.com

১২ হাই-টেক পার্কে তরুণদের স্মার্ট কর্মসংস্থান হবে

ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) অর্থায়নে বাংলাদেশে চলছে ১২টি হাই-টেক পার্কের কাজ। এসব হাই-টেক পার্কে দেশের তরুণ-তরুণীর স্মার্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। গতকাল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সাক্ষাৎ শেষে তারা এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিককের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় হাই-টেক পার্কগুলোর চলমান কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, ‘ভারতে সরকারি ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়ে আমাদের আলোচনার সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশে ১২টি হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে। এদেশে উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তিগত অবকাঠামোর আধুনিক প্রতিবেশ উন্নয়নে এগুলো বেশ বড় প্রকল্প। ১২টি প্রকল্পের চলমান মসৃণ কার্যক্রমে আমরা বেশ সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতের জন্য আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজসহ আমাদের স্টার্টআপ সম্প্রদায়গুলোকে আরো ঘনিষ্ঠভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছি, যা গত বছর স্টার্টআপ সামিটের সময় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন। আমরা খুবই আনন্দিত যে এটি উদ্ভাবনের বিশেষ ক্ষেত্র বিকাশে, ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণে এবং অভিজ্ঞতাগুলোকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য স্টার্টআপ সম্প্রদায়গুলোর সংযোগ ঘটানোর একটি প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। আমাদের দুটি দেশকে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত করার জন্য আমরা কিছু কাজ করেছি। আমাদের ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্কগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য সমঝোতা স্মারক রয়েছে। অনলাইনে অর্থ পরিশোধে এগুলো মানুষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হতে চলেছে।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের ১২টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সেখানে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর স্মার্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। আমাদের রফতানি আয় বাড়বে এবং বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আইসিটি টেলিকম ও পোস্ট সেক্টরে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে। স্থানীয় তরুণদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। এ তিন জায়গায় আমরা ভারতের সহযোগিতা পাব বলে প্রত্যাশা করি। আমাদের ১২টি হাই-টেক পার্কের পাশাপাশি ছয় জায়গায় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্টের কাজ শেষ হয়ে গেছে। সেখানেও আমাদের ৩০ হাজার ছেলে-মেয়ে ব্লকচেইন, রোবোটিকস, ডাটা অ্যানালাইসিস—এ ধরনের ভবিষ্যৎমুখী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষ জনশক্তি হয়ে উঠবে। দুদেশের সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে আমরা যে এমওইউ সই করেছিলাম সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দিল্লি সফরে সেটার মেয়াদও বৃদ্ধি করেছি। দুই দেশ একত্রিত হয়ে আমরা সাইবার ড্রিল পরিচালনা করব। এর মাধ্যমে বিশ্বের সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের টেলিকম সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুদেশের স্টার্টআপের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরির উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।’

Exit mobile version